প্রধান কি কি কারনে AdSense একাউন্ট বাতিল হয়?
১. সবচেয়ে বড় কারন হল, ইচ্ছাকৃত এ্যাডে ক্লিক করা। দিনে রাতে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ টাকার স্বপ্ন নিয়ে একেকজন এডসেন্স একাউন্ট খুলে কিংবা বাস্তবিকতা পুরোপুরি ভিন্ন - আর দশটা পেশার মতো টাকা কামাতে এডসেন্সের জন্যেও প্রচুর পরিশ্রম, ধৈর্য্য আর অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। আর এসবের অভাবে নতুন এডসেন্স পাবলিশাররা সহজের হতাশ হয়ে পড়েন এবং নিজেদের এ্যাডে নিজেরাই ক্লিক করেন কিংবা অন্যদের ক্লিক করতে উৎসাহিত করেন। এ কোনো অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য নয়। কোনো ক্লিক না পেলে ওয়েবসাইট করাই বাদ দেন - তবুও নিজের এ্যাডে ক্লিক করবেন না। আমও যাবে, ছালাও যাবে।
২. অনেক ওয়েবসাইট বলে, তাদের সদস্য হলে নাকি তারা হাজার হাজার ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দেবে। এধরনের ওয়েবসাইট কিংবা প্রোগ্রামগুলো পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এগুলোর মাধ্যমে যদি অবৈধ ক্লিক না পড়ে, তবুও অবৈধভাবে পেজ ইমপ্রেশন সৃষ্টির দায়ে বিনা নোটিসে আপনার একাউন্ট বাতিল হতে পারে। তাই কোনোরুপ কৃত্রিম উপায়ে ভিজিটর বাড়াতে চেষ্টা করবেন না।
৩. পর্ণসাইট, কাট-কপি-পেষ্ট করা লেখার ওয়েবসাইট (কপিরাইট ভঙ্গ হলে), পাইরেট সফটওয়ার ডাউনলোড, জুয়া কিংবা নিষিদ্ধ ঔষধ কিংবা মাদকদ্রব্য সেবনে উৎসাহিত করে এমন ওয়েবসাইটে এ্যাড বসালে একাউন্ট বাতিল হতে বাধ্য।
৪. অনেকে পন্ডিতি ফলাতে এডসেন্সের কোড পরিবর্তন করার চেষ্টা করে। এটা করে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন। অযথা কোড পরির্বতের চেষ্টা করবেন না। রং, ফন্ট, সাইজ ইত্যাদি যদি পরিবর্তন করতেই হয়, তবে এডসেন্স একাউন্টে ঢুঁকেই পরিবর্তন করুন।
৫. অনেকে এ্যাডের পাশে লিখে দেব - “আমাদের সাহায্য করুন”, “এই সাইটগুলো ভিজিট করুন”, “এখানে ক্লিক করুন” কিংবা “প্রিয় ওয়েবসাইট” - এগুলো পাঠককে এ্যাডে ক্লিক করতে উৎসাহিত করারই নামান্তর। এগুলো থেকে বিরত থাকুন।
৬. একটা কারন অনেকেই জানেন না, কোনো ছবির ঘেঁষে এ্যাড বসানোও অবৈধ। কারন এতে পাঠক বিভ্রান্তিত হয়ে এ্যাডে ক্লিক করতে পারে। তাই একান্তই ছবির পাশে এ্যাড বসাতে হয়, তবে ছবি আর এ্যাডের মধ্যে নিরাপদ দুরত্ব রাখুন দুটোকে আলাদাভাবে চেনা যায়।
No comments:
Post a Comment